জনাব চৌধুরী 'PQR' কোম্পানির সচিব। তিনি প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য ও নীতিনির্ধারণ তথা চিন্তন-মান কার্যপ্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট। জনাব LR এবং জনাব AT কোম্পানির দুইজন এরিয়া ম্যানেজার। তাঁরা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও নীতি বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন, নেতৃত্ব প্রদান ও নিয়ন্ত্রণের মতো কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকেন। জনাব 'টিটু' উক্ত 'কোম্পানির একজন সুপারভাইজার।
ব্যবস্থাপনার স্তরের ভিত্তিতে জনাব চৌধুরীর কাজের প্রকৃতি হলো শীর্ষ ব্যবস্থাপনার কাজ। আর জনাব LR এর কাজের প্রকৃতি হলো মধ্য পর্যায়ের ব্যবস্থাপনার কাজ।
প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ের নির্বাহীদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা ব্যবস্থাপনাকে উচ্চ পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা বা শীর্ষ ব্যবস্থাপনা বলে। এ স্তরে প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারণ, উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সাধারণত মালিক, পরিচালনা পর্ষদ, চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, সচিব এ স্তরে অবস্থান করে। পক্ষান্তরে, উচ্চ পর্যায়ে গৃহীত লক্ষ্য, পরিকল্পনা ও নীতি-নির্দেশনা বাস্তবায়নে নিম্ন পর্যায়ের ব্যবস্থাপকগণকে কাজে লাগাতে ব্যবস্থাপনার যে পর্যায় কাজ করে তাকে মধ্য পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা বলে। এরূপ পর্যায় উচ্চ ও নিম্ন পর্যায়ের ব্যবস্থাপনার মধ্যে সেতুবন্ধকের ভূমিকা পালন করে। সাধারণত বিভাগীয় ব্যবস্থাপক, সহকারী-ব্যবস্থাপক, এরিয়া ম্যানেজার প্রমুখ এ স্তরে অবস্থান করেন।
উদ্দীপকে দেখা যায়, জনাব চৌধুরী 'PQR' কোম্পানির সচিব। যেহেতু তিনি প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য ও নীতিনির্ধারণ তথা চিন্তন-মননকার্য প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট। তাই বলা যায়, জনাব চৌধুরীর কাজের প্রকৃতি হলো উচ্চ পর্যায়ের ব্যবস্থাপনার কাজ। অন্যদিকে, জনাব LR কোম্পানির একজন এরিয়া ম্যানেজার। তিনি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও নীতি বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন, নেতৃত্ব প্রদান ও নিয়ন্ত্রণের মতো কার্যাবলি সম্পাদন করেন। যেগুলো মধ্য পর্যায়ের ব্যবস্থাপনার কাজের আওতাভুক্ত।
সুতরাং বলা যায়, ব্যবস্থাপনার স্তরের ভিত্তিতে জনাব চৌধুরী শীর্ষ ব্যবস্থাপনা হিসেবে প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা ও নীতিনির্ধারনমূলক কাজ করেন এবং জনাব LR মধ্য পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা হিসেবে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ করেন।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?